ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৯/১২/২০২৩ ১০:৪৭ এএম

কক্সবাজারের টেকনাফে র‌্যাব ও পুলিশের পৃথক অভিযানে সাড়ে ৫৬ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ রোহিঙ্গাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর মধ্যে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ ৩ রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারস্থ র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- টেকনাফ জাদিমোড়াস্থ ২৭ নম্বর ক্যাম্পের মৃত মীর আহমদের ছেলে কামাল হোসেন (২৪), একই ক্যাম্পের রশিদ আহমেদের ছেলে আব্দু রাজ্জাক (৩৭) ও মৃত নজির হোসেনের ছেলে কামাল হোসেন (২৮)।

কক্সবাজারস্থ র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী জানান, রোববার বিকেলে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের জাদি পাহাড়ের প্রধান গেইটে অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে র‌্যাব। এক পর্যায়ে একটি সিএনজি অটোরিকশাকে তল্লাশিকালে যাত্রীবেশে থাকা ৩ জন যাত্রীর গতিবিধি সন্দেজনক হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদেরকে রোহিঙ্গা নাগরিক বলে স্বীকার করে এবং তাদের দেহ ও সঙ্গে থাকা পলিব্যাগ তল্লাশি করে ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে ৪টি মোবাইল ফোন, ৫টি সিম কার্ড ও নগদ ৩ হাজার ১০০ টাকা জব্দ করা হয়।

মো. আবু সালাম চৌধুরী জানান, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তিরা তাদের ইয়াবা কেনাবেচা চক্রের আরও এক রোহিঙ্গাসহ তিনজন পলাতক মাদক কারবারির নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে।

বিজ্ঞাপন

তারা জানায়, মিয়ানমারের নাগরিক হওয়ায় নিজ দেশের বিভিন্ন এলাকা ও সেখানকার পরিস্থিতি ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করায় এখানকার পরিবেশ সম্পর্কে তারা ধারণা লাভ করে। এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে মাদক কারবারি চক্রটি স্থানীয় মাদক কারবারিদের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা পাচার করে আসছিল। পলাতক অজ্ঞাত মাদককারবারিদের পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা সংগ্রহসহ গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। আর গ্রাফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

অপর এক অভিযানে সাড়ে ৬ হাজার ইয়াবাসহ ১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এক বার্তায় এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি।

গ্রফতার আসাদুল্লাহ (৩০), টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ বাজারপাড়ার বাসিন্দা মৃত মৌলভী দলিলুর রহমানের ছেলে।

মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, রোববার রাতে টেকনাফ পৌরসভাস্থ শাপলা চত্ত্বর এলাকায় তল্লাশি চালানো জন্য চেকপোস্ট স্থাপন করে। এসময় ১ ব্যক্তি ১টি কালো রংয়ের প্রাইভেট কারে ঝরনা চত্ত্বর থেকে মেরিন ড্রাইভের দিকে দ্রুত গতিতে যাওয়ার চেষ্টা করে। সন্দেহজনকভাবে গাড়িটি তল্লাশি করার জন্য সিগন্যাল দিলে ১ ব্যক্তি গাড়ি থেকে নেমে দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় ধাওয়া করে আসাদুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গাড়িটি তল্লাশিকালে সু-কৌশলে লুকানো সাড়ে ৬ হাজার ইয়াবা উদ্ধার ও প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে এবং আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানায় ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি।

পাঠকের মতামত

দিনে শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনের নামে খাবার বিতরণ, রাতে ছাত্রলীগ নেতা আটক

শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনের নামে উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুসলিম উদ্দিন ...